সোমবার, ২৬-মে ২০২৫, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
দেশের প্রথম জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল 

“শীর্ষনিউজ”র আজ ফের উদ্বোধন 

sheershanews.com

প্রকাশ : ২৬ মে, ২০২৫ ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের প্রথম জনপ্রিয় দৈনিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট আমলের শেষ দিন পর্যন্ত নিবন্ধন পায়নি শীর্ষনিউজ ডটকম (sheershanews.com), যদিও নিবন্ধনের ক্রাইটেরিয়ায় এই পোর্টালটি সবদিক থেকে ছিল এক নম্বরে। ‘সংবাদ পরিবেশনার সকল ধারণা পাল্টে দেয়া’র স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৯ সালে শীর্ষনিউজের যাত্রা শুরু হয়। এক ঝাঁক তরুণের অদম্য প্রচেষ্টায় সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুত সময়ে অভাবনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করে শীর্ষনিউজ। শীর্ষনিউজের সফলতা এতটা শীর্ষে পোঁছেছিল যে, দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলা ভাষা-ভাষী অনলাইন পাঠকদের কাছে এটা অত্যন্ত প্রিয় গণমাধ্যম হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। ওই সময় দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল সীমিত। কিন্তু শুধু শীর্ষনিউজ দেখার জন্যই অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেন। এমনকি তখনকার ইলেকট্রনিক, প্রিন্টসহ সকল গণমাধ্যমই শুধু শীর্ষনিউজের ‘ব্রেকিং নিউজ’ দেখার জন্য সারাক্ষণ এই নিউজ পোর্টালটি খুলে রাখতো। এমনকি সরকারের বিভিন্ন সংস্থাগুলোও তাৎক্ষণিক খবর জানার জন্য শীর্ষনিউজকে অনুসরণ করতো। 


কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লাগাতার জোরালো ভূমিকা রাখতে গিয়ে ২০১১ সালে সরকারের রোষানলে পড়ে সম্পাদক গ্রেফতার হন। শীর্ষনিউজ ডটকম ও সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগ পর্যন্ত জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল এই শীর্ষনিউজ। এটা সচেতন মহলের কারো অজানা নয়। সম্পাদক গ্রেফতার এবং গণমাধ্যম বন্ধের ঘটনায় দেশে-বিদেশে প্রচণ্ড প্রতিবাদও হয়েছে লাগাতারভাবে। সম্পাদককে গ্রেফতারই শুধু নয়, চোখ বেঁধে আয়নাঘরে নেয়া, ইলেক্ট্রিক শক, মামলা-হামলাসহ আওয়ামী লীগের পুরো আমলটাতেই নানা রকমের নিপীড়ন-নির্যাতন চলেছে। ডোমেইন ব্লক করে দফায় দফায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শীর্ষনিউজ। প্রত্যেকবার বন্ধের পর নতুন ডোমেইন নিয়ে অনলাইন নিউজ চালু রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। যা ছিল অত্যন্ত কঠিন ও কষ্টকর,এক কথায় বলা যায় অসাধ্য একটা বিষয়। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এত নিপীড়ন-নির্যাতনের পরও শীর্ষনিউজ কর্তৃপক্ষ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কাছে সামান্যতমও হার মানেনি, আত্মসমর্পণ করেনি, লড়াইয়ে থেমে থাকেনি, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। নিরন্তর লড়াই লড়াই গেছে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের শেষ দিন পর্যন্ত। অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, সেই শীর্ষনিউজের নিবন্ধন পেতে এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও অনেক বেগ পেতে হয়েছে। অবশেষে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ শীর্ষনিউজের নতুন করে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। আজ সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু হবে।    


প্রথম যেভাবে যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং যেভাবে দফায় দফায় বন্ধ হলো
এর আগে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শীর্ষনিউজ ডটকমের প্রথম যাত্রা শুরু হয়। অবশ্য তার আগে থেকেই শীর্ষনিউজের অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম চলছিল। ওই সময় অনলাইন নিউজ পোর্টালের ব্যাপারে সরকারের কোনো নীতিমালা ছিল না, নিবন্ধনেরও কোনো নিয়মকানুন ছিল না। তারপরও শীর্ষনিউজ শুরুর আগে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স অনুমোদন নেয়া হয়, তথ্য মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অবহিতকরণ পত্রও দেয়া হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে শীর্ষনিউজ এর ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয় তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে।  ২১ এপ্রিল, ২০০৯ ইং sheershanews.com নামে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়। ২৩ জুলাই, ২০০৯ইং তারিখে তথ্য মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে অবগত করা হয়। মূলতঃ তখন থেকেই শীর্ষনিউজের সংবাদ প্রকাশের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ১৭ আগস্ট, ২০০৯ জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। তখন প্রায় একই সময়ে আরেকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল- বিডিনিউজ২৪ডটকম-ও যাত্রা শুরু করে। কিন্তু শীর্ষনিউজের তূলনায় বিডিনিউজের কার্যক্রম ছিল সীমিত। ‘সব নিউজ সবার আগে’ এমন স্লোগান বাস্তবায়নের ম্যাধমে শীর্ষনিউজ সংবাদ পরিবেশনের গতানুগতিক ধারণাটাই পাল্টে দেয়। যে কারণে শীর্ষনিউজ ডটকম দেশের প্রথম জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এখন পর্যন্ত গণমাধ্যম পাঠকদের নিকট শীর্ষনিউজ একটি ‘ব্র্যান্ড নেইম’ হিসেবেই পরিচিত। তথ্য অধিদফতর ২০১০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শীর্ষনিউজ ডটকম-এ কর্মরত সাংবাদিকদের অনুকূলে ৫টি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করে। কার্ড নম্বরগুলো হলো- ৩০৩৯, ৩০৪০, ৩০৯০, ৩১৫৭ এবং ৩৩২৭। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরো ৪টি কার্ড ইস্যু হয় শীর্ষনিউজ ডটকম-এ কর্মরত সাংবাদিকদের অনুকূলে। এগুলো হলো- ২৬১২, ৩০৯১, ৩৪২৪ এবং ৩৫৭২। 

আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের কারণে ১৪ জুলাই, ২০১১ তথ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন প্রধান তথ্য কর্মকর্তার স্বাক্ষরে এক আদেশে সবগুলো অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। এতে কোনো কারণই দর্শানো হয়নি। শুধু তাই নয়, গোপনে কলাবাগান থানায় দায়ের করা এক মিথ্যা মামলায় ৩১ জুলাই, ২০১১ শীর্ষনিউজ সম্পাদককে রাতের আঁধারে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রিমান্ডে থাকাকালেই পর পর আরো দু’টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় রিমান্ডে নিয়ে থানা থেকে চোখ বেঁধে আয়নাঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। বৈদ্যুতিক শকসহ নানা রকমের টর্চারের মাধ্যমে রিমান্ড যখন শেষ হলো ওই সময় বলা হয়, এরপর আর এমন খবর প্রকাশ করা হলে গুম করে ফেলা হবে, লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হবে, পরিবারের সদস্যদেরও গুম করা হবে। নিম্ন আদালত জামিন দেয়নি সরকারি বাধার কারণে। হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগ পর্যন্ত যেতে হয়েছে জামিনের জন্য। তিন মাসের মাথায় জামিনে বের হলেও জেল গেট থেকে পুনরায় সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু নতুন যেই মামলার কথা বলে জেল গেট থেকে গ্রেফতার দেখানো হয় সেই মামলাটি তখনও দায়েরই হয়নি। পরে সম্পূর্ণ ভুয়া এক মামলা দায়ের করা হয় এবং তাতে গ্রেফতার দেখানো হয়। পৌনে চার মাসের মাথায় যখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে ছাড়া পেলেন সম্পাদক ওই সময় জেল থেকে বের হওয়ার সময় বলে দেয়া হলো- বাইরে গিয়ে টর্চারের কথা বলা যাবে না, বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না এবং শীর্ষকাগজ ও শীর্ষকাগজ অফিস চালু করা যাবে না। এসব না মানলে গুম করে ফেলা হবে, পরিবারকেও ‘নাই’ করে ফেলা হবে। 

গুমের হুমকিতে এবং এ বিষয়ে পারিবারিক চাপে সম্পাদক তাৎক্ষণিক অফিস বন্ধ রাখতে বাধ্য হলেও পরবর্তীতে আবার নতুন করে অফিস নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শীর্ষনিউজ ডটকম চালু করেন। ২০১৩ সালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। শীর্ষনিউজ তখন আবারো অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এক পর্যায়ে সরকারের নির্দেশে কোনো রকমের নোটিস না দিয়েই বিটিআরসি শীর্ষনিউজের ডোমেইন ব্লক করে দেয়া। যদিও এটা ছিল শীর্ষনিউজ কর্তৃপক্ষের জন্য অত্যন্ত বড় আঘাত, তাতেও দমে যাননি কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিকভাবে বিকল্প ডোমেইন দিয়ে পুনরায় চালু করা হয় শীর্ষনিউজ। কিছুদিন পর আবারো ব্লক করা হলো। এটা জানা কথা, বিকল্প ডোমেইনে চালু করলে পাঠকরা তাৎক্ষণিকভাবে পোর্টালের পেইজ খুঁজে পায় না। এতে অনেকটা নতুন করে শুরু করার মতো অবস্থা হয়। পাঠকরা যখন ডোমেইন এবং পেইজ খুঁজে পায়, আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠে- তখনই পুনরায় হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হয়, এভাবেই চলতে থাকে। তারপরও দমে যাননি শীর্ষনিউজ কর্তৃপক্ষ। একটার পর একটা নতুন ডোমেইন নিয়ে অনলাইন নিউজের প্রকাশনা চালু রেখেছেন। এভাবে www.sheershanews.com ছাড়াও sheershanewsbd.com, sheershanews24.com, sheershanews.net, shirshanews.com, shershanews.com সহ পর পর অন্তত ১০টি ডোমেইন পরিবর্তন করা হয়েছে শীর্ষনিউজ চালু রাখতে গিয়ে। কোনো রকমের নোটিস বা ন্যূনতম কোনো কারণ না দেখিয়েই বিটিআরসির মাধ্যমে এভাবে ডোমেইন বন্ধ করে দেয়া নিয়ে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন সম্পাদক। কারণ, তাঁর অধীনই বিটিআরসির মাধ্যমে এগুলো ব্লক করা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি সম্পাদককে একেবাবেই হতাশ করে জবাব দিলেন, সরকারের ইচ্ছে হয়েছে তাই বন্ধ করে দিয়েছে। এতে কারো কিছু বলার নেই। কেন বন্ধ করা হচ্ছে, এটা জানতে পারি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি সম্পাদককে বললেন, আপনাকে জানাতে সরকার বাধ্য নয়। 

শুধু এ রকমের বাধা নয়, র‌্যাবসহ সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তরে ডেকে নিয়েও বার বার হেস্তনেস্ত, নিপীড়ন-নির্যাতন করা হয়েছে। তারপরও দমে থাকেননি কখনো। আওয়ামী দুঃশাসনের সঙ্গে সামান্যতমও আপোষ করেননি শীর্ষনিউজ কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি বাক্য এমনকি প্রতিটি শব্দ পর্যন্ত নজরে রেখেছেন, যাতে কোনো একটি শব্দও স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে না যায়। সর্বশেষ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ‘নিবন্ধন নেই’ এমন অজুহাত দেখিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিটিআরসিকে অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে শীর্ষনিউজ বন্ধ করা হলো। উল্লেখ্য, এর আগে ব্লক করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বিটিআরসিকে যেসব চিঠি দেয়া হতো সেগুলো ছিল অত্যন্ত গোপনীয় এবং আনঅফিসিয়াল। কোনো কারণ না দেখিয়েই ডোমেইন বন্ধ করে দেয়া হতো।       

শীর্ষনিউজ নিবন্ধনের জন্য সরকারের কাছে যথাসময়ে এবং যথানিয়মেই আবেদন করা হয়েছিল ২০১৫ সালে, যখন প্রথম সবার কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। ১৪/১২/২০১৫ ইং তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ sheershanews.com এর নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়। তারপর এ বিষয়ে অনেকবার খোঁজখবর নেয়া হয়েছে, যোগাযোগ করা হয়েছে। দেখা গেছে, অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টালকে অনুমতি দেয়া হয়েছে দফায় দফায়। যেসব অনলাইন পোর্টালের বাস্তব কোনো কার্যক্রম নেই, অফিস নেই, অস্তিত্বও নেই সেগুলো অনুমোদন পেয়েছে। অথচ দেশের প্রথম জনপ্রিয় এবং প্রধানতম নিউজ পোর্টাল  sheershanews.com এর অনুমতি দেয়া হয়নি। তথ্য অধিদপ্তর এবং তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ব্যক্তিগতভাবে জানানো হয়, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে sheershanews.com অনুমতি পাবে না। 

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও নিবন্ধন নিয়ে চরম হয়রানি, হাইকোর্টের রায়ের পর আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এত বৈষম্য, নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শীর্ষনিউজ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন পায়নি। এমনকি এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে উচ্চ আদালতের রায়ও মানা হয়নি। আদালত অবমাননার মামলা পর্যন্ত করতে হয়েছে।

গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর শীর্ষনিউজ কর্তৃপক্ষ সার্বিক ঘটনা তুলে ধরে নিবন্ধনের জন্য ১১ আগস্ট, ২০২৪ তথ্য সচিব বরাবর আবেদন করেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে যোগাযোগও করেন সম্পাদক। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে নেতিবাচক আচরণ করা হয়। পরবর্তীতে সম্পাদক বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে যান। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে শীর্ষনিউজের নিবন্ধন দেয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দেয়ার জন্য বলা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের অ্যাডভোকেট সার্টিফিকেটসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। তাতেই কোনো অগ্রগতি হয়নি। হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফায়েড কপিসহ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পুনরায় আবদেন করা হয় মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু এরপরও মন্ত্রণালয় শীর্ষনিউজ নিবন্ধনের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। 


পরবর্তীতে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয় শীর্ষনিউজ কর্তৃপক্ষ। আদালত অবমাননা মামলায় সরকারকে প্রথম এক সপ্তাহের সময় দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় সরকারের প্রতি রুল জারি করেন আদালত। এরপরে বাধ্য হয় তথ্য মন্ত্রণালয় নিবন্ধনের অনুমতি দিতে। গত ৪ মার্চ শীর্ষনিউজ নিবন্ধন সার্টিফিকেট পায়। তারপর থেকে শীর্ষনিউজ নতুন করে উদ্ভোধনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।